এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে চায়। এ লক্ষে তারা গঠন করেছে বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক। শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মূলধারার ও বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা। সুদূর প্রবাসে বেড়ে উঠলেও বাংলা কৃষ্টি আর সংস্কৃতির চর্চা করে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্কের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা গানে-নৃত্যে তারই স্বাক্ষর রাখলেন। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে জিইয়ে রেখে সবাইকে নিয়ে একসাথে চলার শপথ নিলেন তারা। বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক এর সভাপতি শেখ আল আমীন বলেন, ‘আমাদের মিশন ও ভিশন এক-অভিন্ন। আমরা বাংলাদেশের ট্রাডিশন, কালচার ও হেরিটেজ নিয়ে কাজ করতে চাই। এ লক্ষেই আমরা এক ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস পেয়েছি।’ বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক এর উপদেষ্টা সৈয়দ মোস্তফা আল আমীন রাসেল বলেন, ‘আমার সংগঠন করার কয়েকটি উদ্দেশের একটি হচ্ছে- যেসব বাংলাদেশি ছেলেমেয়েরা এখানে জন্মগ্রহণ করেছে এবং যারা পরবর্তীতে এদেশে পড়তে এসেছে তাদের কাছে আমাদের সংস্কৃতিকে পৌঁছে দেয়া। তারা যেন বাঙালি সংস্কৃতির চর্চাটা এদেশে করতে পারে। চর্চা করার আগ্রহ পায়। তিনি বলেন, পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা শেষ করার পর যেন তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরিটা পায় সেই ব্যবস্থা করা।’ অনুষ্ঠান যেন পরিণত হয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায়। অনুষ্ঠানে গল্পে-আড্ডায় মেতে ওঠেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক এর নির্বাহী কমিটির সদস্য জেনিফার তাসমিয়া বলেন, ‘দেরিতে হলেও এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি হয়েছে। আমি এতে খুবই আনন্দিত। এতে করে আমরা পেশাগত জীবনে আরও উন্নতি করতে পারবো।’ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মূলধারার বিভিন্ন পেশার কর্তাব্যক্তিরাও। তারা শিক্ষার্থীদের হাতে মার্কিন কংগ্রেস, নিউইয়র্কের গভর্নর অফিস ও স্টেট সিনেটের স্বীকৃতি ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরাও।সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে একটি স্মরণিকাও প্রকাশিত হয়। শেষে গানে গানে শেষ হয় মিলনমেলা।